Header Ads

Header ADS

বিদায় বন্ধু..!


বিদায় বন্ধু..!
.
প্রায়ই মনে হয় আমি তোমাদের মত স্বভাবিক নই।
কখনো কখনো আমি অস্বাভাবিক রকমের ক্রুদ্ধ হয়ে পড়ি।
আমি ক্লান্ত, আমি মানষিক রোগে আক্রান্ত।
প্রায়ই আমি অমনযোগী, তোমাদের ব্যথা উপশমে নিবিষ্ট নই।
আমি ক্ষমা চাই নিজ অপারগতায়, তোমাদের যথার্ত মূল্যায়ন না করার ব্যর্থতায়।
প্রতিদিন আমার মন বিবেক যুদ্ধে হেরে যায়, কখনো বা প্রতি ঘন্টায়। তোমরা নিশ্চিত জেনো, আমি ঘৃণা করি এই রং বদল; ঠিক যতটা তোমরাও করো।
প্রায়ই আমি ভেঙ্গে পড়ি। অনুযোগ করিনা, অভিযোগ করিনা।কারো অনুগ্রহ পাবার দুঃসাহস করিনা। শুধু যখন ভাঙ্গতে থাকি; মনে হয়" কেউ হাতটি ছুঁয়ে থাকুক।
যখন মুমূর্ষ হই আর তোমরা প্রশ্ন করো আমি কেমন আছি; বলতে হয় বরাবরই ভাল আছি।
যখন বলি ভাল আছি, বুঝে নিও, ভাল থাকার আপ্রাণ চেষ্টায় ডুবে যাওয়া নৌকার কিনারা তখনো ধরে আছি।
যদি কখনো বিনা প্রয়োজনে তোমাদের মনযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করি, তবে বিরক্ত হয়োনা বন্ধু, ধরে নিও; ব্যথা উপশমের দ্বিতীয় কোন পন্থা আমার জানা নেই।
এটা খুব বেদনাদায়ক' যখন নিজেকে দেখি অলস কিংবা স্বার্থপর রুপে। তবু বলতে চাই, এই আমি আসল আমি নই। এই আমি কেবল আমার ভিতরের স্নায়ুযুদ্ধে হার মানা দ্বিতীয় স্বত্তা।
আমাকে নিয়ে বিভ্রান্ত হয়োনা। বিচার করার আগে আমাকে প্রশ্ন করো। আমি মুখোমুখী হতে কুন্ঠাবোধ করবনা।
জেনে রেখ, আমি তোমাদের মত নই। স্নায়ুতন্ত্র বিদ্রোহে প্রতিদিন আমি লড়ে যাই বীর সৈনিকের মত। মানিয়ে যাই, মেনে নিতে পারিনা। তাই রোজ লড়াই করে টিকে থাকি।
সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে গেছে বহু আগে, স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হয়নি। এ যুদ্ধ কেবল দুটি রাষ্ট্রের বিশ্বাস আর মতাদর্শের সংঘর্ষ নয়! এ যুদ্ধ প্রত্যক্ষ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ নয়, এ যুদ্ধ সবাইকে ছাড়া টিকে থাকার লড়াইয়ে শরীরের প্রান্তস্থ স্নায়ুর ধশে অভ্যন্তরীণ জ্বালাময়ী যুদ্ধ।
প্রিয় বন্ধু; চলে যাওয়া সহজ, যেতে দেওয়া নয়!
চলে যাওয়া মানেই যদি প্রস্থান হতো, হতো বন্দ্বন ছিন্ন করা, তবে হয়তো মানুষ বেঁচে যেত!
কাছের মানুষ গুলো চলে যায় অবুঝের মত এক বুক অভিমান নিয়ে, পরিশেষে রেখে যায় কিছু ছড়ানো ছিটানো মায়া!
এ মায়া বড় ভয়ংকর! গা ঘেঁষে থাকা ভালবাসা এক সময় বিরক্তিতে পরিনত হয়। যতদিন দূরত্ব রাখা যায়, ভালবাসা ততদিন মধুর থাকে। বড়ই অদ্ভূত এই বন্ধন..!!!
চলে যাওয়া মানেই যদি কষ্টের সমাধী হতো, তবে কেন ওরা চলে গেলে কষ্টের ভাগ দ্বিগুন হয়ে যায়! মন কেন বার বার পিছু ফিরে দেখে! কেন আসেনা মনের দুয়ারে নতুন ফাগুন!
চলে গেলেই যদি ভুলে যাওয়া হতো, তবে কেন হারানো মুখ গুলো সৃতির ডানায় ভর করে বার বার বেদনার অশ্রু হয়ে ঝড়ে দুচোখে!!!!
যে যাবার, সে তো যাবেই। কোন না কোন ছুতোই যাবেই সে। তাকে ধরে কি রাখা যায়! বিশাল এই ধরনীর বুকে, কে, কাকে পেরেছে ধরে রাখতে!? পৃথিবী কি পারে তার মনুষ্যকুল কে আজীবন বেঁধে রাখতে? পারেনা। তবে মানুষ হয়ে আমার কি সাধ্য তাকে ধরে রাখার!
ওরা চলে যায়! যাওয়ার বেলায় অভিমানের কালিতে ভালবাসার দেওয়ালে লিখে দিয়ে যায় এক রাশ কষ্ট! রয়ে রয়ে কষ্ট হয়ে যাওয়াই হয়ে উঠে আমার অভ্যেস। এক সময় হয়ে উঠি অভ্যাসের দাস। দাসত্ব করে করে এক সময় অভ্যাসটাই হয়ে যায় বদভ্যাস!
এই যে তোদের চলে যাওয়া, এই যে তোদের মায়ায় দিন হতে সপ্তাহ, সপ্তাহ হতে মাস, মাস হতে বছর অবধী সয়ে যাওয়া, এই যে তোদের অভিমানের কালীতে গায়ে কলংকের ছাপ মেখে পিছু ফিরে ফিরে দেখা, সহজ নয়!!
তোরা কি দেখিস কতটা চাপা কান্নায় মরুভুমিও সিক্ত হয়ে উঠে?
তোরা কি বুঝিস কতটা বেদনায় হৃদয়ে রক্তক্ষরন হয় প্রতিনিয়ত?
তোরা চলে গিয়েই শান্ত আহত পাখির মত বিশ্রাম নিস কোন এক অজানায়! আমি শুধু নিরলস মায়ার মোহে খুঁজেই ফিরি তোদের! তোদের রেখে যাওয়া সৃতির বালির চিহ্নে হাতিয়ে ফিরি হারানো মুখ!
তোরা বড় অবুঝ! তোরা নিষ্ঠুর! তোরা ভালবাসা বুঝিস না। থেমে থেমে জীবনের নতুন বাঁকে তোরা প্রতিনিয়ত কষ্টে রাখিস আমায়।
চলেই যদি যাবি, তবে কেন আসিস বিশ্বাসের প্রতিস্রুতি নিয়ে!
তবে কেন মিছে শব্দের বুলিতে সম্পর্ক গাথিস ভালবাসার সুঁতোয়! চলে যাওয়া মানেই যদি বন্দ্বন ছিন্ন করা হয়, তবে কেন তিমির রজনী কাঁটে আমার অশ্রুধারায়! তবে কেন কষ্ট নড়ে চোখের ভিতর দিবারাতি!
এ কি তবে মায়া!!? এ মায়া কাঁটানোর সাধ্য কে রাখে! মায়ায় মায়ায় কেঁটে গেছে দুই যুগ। কেঁটেছে শহস্র নির্ঘুম রাতি। জ্বোৎস্নাকে করেছি মায়ার সাথী। পাহারা দিয়েছি একাকীত্ব! কতবার ডুবে গিয়েছে শুক্লাপক্ষের পঞ্চমীর চাঁদ! নক্ষত্রের ভিরে খুঁজেছি শুকতারাটি। যদি ভুলক্ষনে দ্বিপ্রহরে কখনো খশে পরে রাতেরতাঁরা, তবে বাসনায় যেন তোদের ফিরে পাই!
তোরা চলে যাস! আমি চেয়ে দেখি! এক পৃথিবী বিস্ময় চোখে আমার কষ্টে চাপা বুক প্রস্তুতি নেয় আরেকটি বদভ্যাসের!!
বন্ধু; যে ঘিরে থাকেনি পরিবার,
সে জানেনা অহেতুক খুনসুটি- হাসাহাসি নিঃশ্বাসের গতিপথ কেমন সহজ করে দেয়..!!
যে ঘিরে থেকেছে মায়াময় বন্ধন! সে জানে, প্রস্থানের বিরহশোক মনকে কেমন সংকীর্ণত করে দেয়।
আসা-যাওয়া প্রকৃতির খেলা, শুধু খেলাঘরে মানুষ আটকে যায়।
যে থেকেছে প্রিয় সঙ্গ ঘেঁষে, সে জানে, দূরত্বের পরিসীমা কতটা কাঁদায়! তবু মেনে নিয়ে বিষন্ন মন; দেয়াল হাতরে খুঁজে চলে প্রিয় মুহূর্ত। এভাবেই ওরা আসে, চোখের পলকে চলেও যায় মেনে নিয়ে সংবিধান!!
এভাবেই বিরহশোক গুটিপায়; আমি প্রিয়াকে কাঁদায়..!!
প্রিয় বন্ধুঃ তোদের সবার সাথে জীবনের অনেকটা পথ পাড়ি৷ দিলাম,,!! কতদিন কত ভাবে তোদের জ্বালিয়ে গেলাম, আজ থেকে হয়ত আর কবু তোদের জ্বালাবো না, কখনো যদি নিজের অজান্তে তোদের পবিত্র মনে কোন কষ্ট দিয়ে থাকি! তবে নিজ গুনে ক্ষমা করে দিস, আল্লাহর ওয়াস্তে আমার উপর কোন দাবী রাখিস না বন্ধু! তোদের প্রতি আমার কোন অনুযোগ নেই, অভিযোগ নেই, নেই কোন৷ দাবী! আমার অক্ষয় আশির্বাদকবচ তোদের সাথে রইলো!
তোরা আজীবন সুখী হও, শান্তি পাও, স্রষ্টার কাছে এই প্রার্থনা। প্রিয় বন্ধুঃ তোরা যেখানে থাকিস ভালো থাকিস! সুখে থাকিস!
আর আমাকে যত মন্দ বলে বিশ্বাস করিস" ততো মন্দ আমি নয়!
এই আমার শেষ কৈফিয়ত।
-

No comments

জনপ্রিয় পোষ্ট

  জন্ম নিবন্ধন করবেন ভাবছেন, আর ভাবনা নয় সপ্ন এখন সত্যি সব এখন হাতের মুঠোয়, [ http://bdris.gov.bd/br/application ]( http://bdris.gov.bd/br...

Powered by Blogger.