Header Ads

Header ADS

> "তৃপ্ত ছায়া" <,

> "তৃপ্ত ছায়া" <,
-
------ "পর্ব ষাট ",
-
আকাশ ও মেঘলা রুমে ফিরে এসে মেঘলাকে নিয়ে ব্যালকনিতে গিয়ে বসে। গল্পের এক পর্যায়ে মেঘলা হঠাৎ বলল,
- ব্রাশ কয়টা এনেছো?
- কেন? 2 টা!
- তোমাকে না বলছি ব্রাশ আমার লাগবেনা।
- সরি ভুলে নিয়ে আসছি।
আসলে আকাশ ইচ্ছা করেই নিয়ে এসেছিল, ওদের মাঝে কথা ছিল বিয়ের পর তারা দুজনই একটা টুথব্রাশ ইউজ করবে, ভাবছিল হয়ত মেঘলা ভুলে যাবে কিন্তু না......
- দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা, ভুলামনাকে আজ সারারাত বাহিরে থাকতে হবে। যাও এখনি বাইরে, নাহয় আমি কান্না করবো।
- আচ্ছা সোনাবউ একটু ওয়েট, আমি ফ্রেস হয়ে আসি, তারপর নাহয় কান্না করো।
এই কথা বলতে বলতে ওয়াশরুমে গিয়ে দেখে তার ব্রাশে পানি, আকাশ বুঝতে পারলো মেয়েটি কোন ফাঁকে তার ব্রাশ দিয়ে ব্রাশ করে ফেলেছে। তাই আর দাঁতব্রাশ না করে সে এমনিতে ফ্রেস হয়ে আসে।
রুমে এসে ব্যাগ থেকে আরেকটা নতুন ব্রাশ বের করে, অই ব্রাশ টা লুকিয়ে রাখছে যাতে মেঘলা না দেখে।
তারপর দুজনই মিলে নাস্তার টেবিলে বসে নাস্তা পানি সেরে নিল।
তারপর মেঘলাকে ফ্রেস হতে বলে আকাশ আজ নিজেই আব্বু আম্মুর জন্য দুইটা কফি নিয়ে ছাদে গেল, ফিরে এসে সোফাই বসে ভাবলো এখন তো খাওয়া দাওয়া শেষ, ঘুমানোর আগে এবার অন্তত ব্রাশ করা দরকার, এই ভেবে সোফা থেকে উঠে ওয়াশরুমে যায়, গিয়ে দেখে তার নতুন ব্রাশে পানি। মাথাটাই গরম করে দিল।
.
- পিচ্ছি অই পিচ্ছি তোমারে কত বার না করছি যে" আমার টুথব্রাশ দিয়া দাঁত মাজবা না??
তাও আবার কেন মেজেছ??? আর একদিন যদি দেখি তো তোমার দাঁত আমি সব উঠাই নিবো!!!
আকাশ যাকে এতক্ষন বকছিল উনি হচ্ছে তার বজ্জাত বউ মেঘলা।
বজ্জাত বলার কারণ হল: ওর নিজের ব্রাশ থাকা সত্তেও সে আকাশের ব্রাশ দিয়ে দাঁত মাজে।
তাই সে ইচ্ছে মত বকা দিছে।
আকাশের বকা শুনে মেঘলা মুচকি হেসে বলল,
- তুমি কি কাউকে বকা দিচ্ছ?
- রক্ষা করো মাবুদ, আমি এই এতক্ষণ কারে বকা দিচ্ছি।
এমন সময় হঠাৎ আকাশের ফোনটা বেজে উঠে, ফোনের স্কিনে তাকিয়ে দেখে রানার কল, ভাবে হারামীরা আজকেও শান্তিতে থাকতে দিবেনা। অবশেষে ফোনটা রিচিভ করে,
- একটু নিচে আসবি?
- নিচে মানে? তোরা না গেলি?
- এত কথা বুঝিনা, তোকে আসতে বলছি আসবি ব্যাচ।
কি আর করা, মেঘলাকে রুমে রেখেই আকাশ নিচে নামতে লাগলো, নামার সময় মাঝ সিঁড়িতে অনন্যাদের সাথে দেখা, আকাশের বুঝতে বাকী রইলোনা যে" ওরা নির্ঘাত উপরে মেঘলার কাছে যাচ্ছে, নিশ্চয় কোন কুমতলব আছে। এসব ভাবতে ভাবতে নিচে নামে, আকাশকে দেখে সবাই সে কি হাসি, কারণ' আজকের দিনটাতেও আকাশ বন্ধুদের কথা ফেলতে পারেনি তাই বাসায় নতুন বউ ফেলে চলে এসেছে।
- কিরে' কি ব্যাপার রানা? আমাকে দেখে সবাই এমন অদ্ভুত ভাবে হাসছিস কেন?
- আরে দোস্ত কি বলিস, তোকে দেখে হাসব কেন? এমনিতে হাসছি, আজকে তো খুশির দিন তাই না?
- এখন বল কেন ডেকেছিস? আর তোরা না বিদায় নিয়ে গেলি? নিশ্চয় কোন ষড়যন্ত্র?
- অহ মোর আল্লাহ, কি কও না কও, আমি তো ডাকতে চাইনি দোস্ত, শরিফ হারামীটাই কল দিতে বলছে।
আকাশ এবার শরিফকে উদ্দেশ্য করে বলল,
- নতুন কোন মতলব আছে নাকি? তোরা তো আবার পারিসনা আমার জানটা বাইর কইরা নিয়া আসতে।
- আসতাগফিরুল্লা, নাউজুবিল্লাহ, এইচ্ছা কথা কইনা দোস্ত, একমাত্র জানের দোস্তের জন্য কেউ কি এমন করে?
- তোদের কোন বিশ্বাস নেই। কোন সময় কি বিপদে ফেলিস আবার।
- একটু পরই না টের পাবি...!!(রানা মিনমিন করে)
- কি বললি তুই?
- সরি দোস্ত" কিছুনা, এমনিতে মুখ ফসকাই বেরিয়ে আয়ছে।
কথাটা শুনে সবাই হেসে দিলো। একটু পর অনন্যারা নিচে নেমে এলো, তারপর আকাশের হাতে একটা ছোট্র গিফট বক্স ধরিয়ে দিয়ে বন্ধুরা সবাই বিদায় নিয়ে চলে গেল।
আকাশ সবাইকে বিদায় দিয়ে নিজের রুমের উদ্দেশ্যে উপরে উঠে গেল, রুমের সামনে আসতেই আকাশের চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল, এই মুহূর্তে তাকে দেখে যে কেউ ধরে নিবে সে দরজাই কোন বড়সড় ভুত দেখে ফেলেছে তাই তার এই অবস্থা। কিন্তু না' আকাশ বেকুব বনে যাওয়ার কারণ হল তার বান্দরের লাহান সনামধন্য ফাজিল বন্ধু গুলা। ওরা তার রুমের দরজার সামনে বিশাল এক বিলবোর্ড টাঙাই দিছে, তাতে লিখা ছিল >""স্থান পরিবর্তন""<
আর Indicated করা আছে পাশের রুম।
এবার তার আর বুঝার বাকী রইলোনা যে' রুম থেকে তাদেরকে অপসারণ করা হয়েছে,।
কি আর করা,
শেষমেশ আকাশ রুমে ঢুকে দেখে মেঘলা বিশাল একটা ঘোমটা দিয়ে বসে আছে। নানান জাতের বাহারী পুষ্প দিয়ে রুমটা বেশ সাজানো গোছানো। দেখলেই যেন প্রাণ জুড়িয়ে যায়, বুঝতে পারলো এসব বন্ধুরা করেছে। ওদের একবার ধন্যবাদ দিতে ইচ্ছে করেও দিলোনা।
আকাশ ধীরেসুস্থে গিয়ে মেঘলার পাশে বসতে যাবে এমন সময় মেঘলা উঠে তাকে সালাম করে, তারপর ওরা ইসলামিক নিয়ম অনুযায়ী নামাজ আদায়ের পর কিছু আনুসঙ্গিক নিয়ম শেষে মেঘলার পাশে গিয়ে বসে আকাশ, কিছুক্ষণ নিরবতা শেষে মেঘলা হঠাৎ বলল,
- এই যে, তুমি কিন্তু আমাকে আমার অনুমতি ছাড়া স্পর্শ করবে না।
- মানে, কি বুঝলাম না?
- বুঝতে হবে না। তুমি আমাকে স্পর্শ করবেনা, করলে কিন্তু আমি কান্না করবো।
- কি আজিব, কথায় কথায় কাঁদতে হবে কেন?
- একশবার কাঁদবো, আগে বলো রাজি কিনা? এমনিতেই বাসার জন্য খারাপ লাগছে।
- ওকে, তাও কান্না করতে হবে না। এখন একটু সরে বসো, আমি ঘুমাবো। এভাবে বিছানার মাঝখানে বসে থাকলে আমি ঘুমাবো কি ভাবে?
- শুনো' আজ রাতে আমি তুমি কেউ ঘুমাবো না।
- কেনো??
- জানো' আমি না সারা জীবন কোন প্রেম করিনি। যা করছি তাও এক বান্দরের সাথে, তাই সব সময় ভেবেছি, যাকে বিয়ে করবো, তার সাথেই ছুটিয়ে প্রেম করবো। আর যতদিন পর্যন্ত তাকে ভালবাসতে পারবো না ততদিন তাকে স্পর্শ করতে দিব না।
- ওহ আচ্ছা। এর সাথে না ঘুমানোর কি কারণ বুঝলাম না??
- তুমি আজ ঘুমাবে না। আজ সারারাত তোমার সাথে গল্প করবো।
- কি গল্প?
- আমার বরকে নিয়ে আমি যত স্বপ্ন দেখছি...সেই গল্প।
- এই মনি' শুনোনা, এই আমি না আজ খুব ক্লান্ত, কাল গল্প করি?
- না...আজকেই। তুমি ঘুমালে কিন্তু তোমার গায়ে পানি ঢেলে দিবো।
- কয় কি?? (এই শীতের রাতে) না থাক তারচেয়ে বরং গল্প করি। বলো কি বলবে?
- তুমি তো আচ্ছা বরিং মানুষ। কথা বলতেও পারোনা ঠিক ভাবে। আমার নাম জিজ্ঞেস করো।
- ওহহ আচ্ছা' তোমার নামতো প্রিয়ন্তি চৌধুরী মেঘলা, তাই না?
- আরে দুর' এভাবে কি কেউ জিজ্ঞেস করে?
- তাহলে কিভাবে জিজ্ঞেস করে?
- বলবে..."তোমার নাম কি?
- কিন্তু আমি তো তোমার নাম জানি।
- উফ... তোমাকে কিন্তু যা বলতে বলছি তাই বলো।
- ওকে....তোমার নাম কি?
- আমি প্রিয়ন্তি চৌধুরী মেঘলা।
- কিসে পড়ো?
- এল এল বি কম্পলিট।
- আর কি?
- দূর ছাই,,,, কি বরিং মানুষ তুমি?
- আবার কি করলাম?
- ওকে, তোমার প্রশ্ন করতে হবে না। আমি নিজে থেকেই বলছি।
- জানো আকাশ' আমার সব ফ্রেন্ডরা রিলেশন করতো। কিন্তু আমি করতাম না।
- কেনো?
- কারণ আমি আমার বরের দুষ্ট মিষ্টি বউ হতে চাইছি সব সময়।
- কি রকম?
- আমি সব সময় চাইছি,,,, আমার সব ভালোবাসা আমি আমার বরকে দিবো, আর ওকে খুব জ্বালাবো।
- কি রকম?
- জানো, আমার চাহিদা গুলো খুব সামান্য। আমার বাড়ি, গাড়ি, ভালো পোশাক, দামি ফার্নিচার কিছুই চাইনা।
- তাহলে কি চাই?
- রোজ সকালে তুমি যখন অফিসে যাবে, তখন আমার কপালে একটা চুমু দিবে।
- আর?
- দুপুরে খাবার আগে যেখানেই থাকো, আমাকে একটা কল দিবে, না হলে আমি না খেয়েই থাকবো।
- ওকে দিবো। আর?
- অফিস থেকে ফেরার সময় আমার জন্য, চকলেট, আইসক্রিম, ফুসকা, কিছু না কিছু আনতে হবে।
- আর?
- যদি কখনো ভুলে যাও, তবে আবার বাইরে পাঠাই দিবো।
- ওকে আনবো। আর?
- ভালবাসা দিবস, মেরেজ ডে, সহ সব ভালো ভালো দিনে আমায় নতুন করে প্রপোজ করতে হবে। কিন্তু কোন ফুল দেওয়া যাবে না।
- এটা কেমন কথা?
- জী' এমন কথা।
- ওকে' আর?
- আমার কুয়াশা, চাঁদনি রাত, বৃষ্টি ভেজা বিকেল, ঠান্ডা খুব ভালো লাগে। তাই মাঝে মাঝে ঘুরতে নিয়ে যেতে হবে। ব্যস্ত থাকলে বলবো না।
- ওকে, আর?
- মাঝে মাঝে চাঁদনী রাতে ব্যালকনিতে বসে এক কাপে দুজন কফি খাবো।
- এক কাপে কেন?
- হুম এক কাপেই খাবো।
- ওকে ম্যাম, আর?
- মাঝে মাঝে বৃষ্টির রাতে ছাদে গিয়ে দুজনে ভিজবো। আর তুমি কদম ফুল দিয়ে আমায় প্রপোজ করবে।
- এই শহরে কদম ফুল কোথায় পাবো?
- আমি জানি না। আর রাগ করলেও কদম ফুল দিয়ে রাগ ভাঙ্গাতে হবে।
- এটাতো রীতিমত টর্চার। সারা বছর কদম ফুল কই পাবো মনি?
- আমি জানি না।
- আচ্ছা অন্য ফুলের কথা বলো।
- না। কদম ফুল না দিতে পারলে আমায় কোলে নিতে হবে। যতক্ষণ মন ভালো হবেনা ততক্ষণ কোলে নিয়ে থাকতে হবে।
- এই ৪৮ কেজির বস্তারে কোলে নিলে আমি বাঁচবো?
- আমি জানি না। কদিন পর আরো মোটা হবো। তবুও কোলে নিতে হবে।
- বলে কি? প্রথমের গুলাইতো ভালো ছিল।
- সব গুলাই ভালো, কোলে নিবে কিনা বলো??
- ওকে লক্ষি নিবো, আর?
- আমি রোজ শাড়ি পড়ব, তুমি রোজ কুচি ধরে দিবে।
আমি রোজ বাঁকা করে টিপ পড়ব, তুমি হাত দিয়ে ধরে সোজা করে দিবে।
আমি রোজ ভেজা চুলে তোমার ঘুম ভাঙাবো, আর তুমি আড়মোড়া ভেঙে মুগ্ধ হয়ে দেখবে।
তুমি প্রতিদিন আমার প্রেমে পড়বে আর বলবে, "ভালোবাসি তোমায়"!
- আচ্ছা সোনা" বলবো।
- শুনো।
- হুম বলো মনি।
- তোমার এই বোকা বোকা চশমাটা একটু খুলবে।
- কেনো?
- তোমাকে একটু দেখবো, কতদিন ভালো করে দেখিনা।
- আচ্ছা সোনা' আজকে কি ছেড়ে দেয়া যায়না? আমি একটু ঘুমাবো,,,,কাল কথা হবে।
আকাশের কথা শুনে মেঘলা মুচকি হেসে বলল,
- আচ্ছা টিক আছে ঘুমাও।
- ওকে সোনা বউ, আল্লাহ হাফেজ।
- এই যে শুনো, আল্লাহ হাফেজ বইলা কই যাও? এখানে তো একটা বালিশ, আমি কোথায় ঘুমাবো?
- আমার বুকের উপর।
- মানে?
- তোমার যেমন আমাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন। ঠিক তেমন তোমাকে নিয়ে আমারও একটা সপ্ন আছে, আমার বউ সব সময় আমার বুকে মাথা দিয়ে ঘুমাবে। সারাদিন যত রাগ ঝগড়াই হোক, রাতের বেলা যেন কেউ কখনো অন্যজনকে ছাড়া না ঘুমাতে পারে? বুঝলা বউ?
কথাটা শুনে মেঘলা কিছুক্ষণ মনে মনে হাসে, তারপর গুটিশুটি হয়ে আকাশের বুকের মাঝে শুয়ে পড়ে, একটু পর নিরবতা ভেংগে মেঘলা বলে উঠলো,
- আচ্ছা আকাশ' তুমি নাক ডাকো নাতো?"
আকাশ একটা মুচকি হাসি দিয়ে জ্ঞানীর মতন ভাব করে উত্তর দিল,
- আগে ডাকতাম না, কিন্তু এখন থেকে ডাকবো।"
- মানে কি? আমি ঘুমাবো কিভাবে?
আকাশ তখন মেঘলাকে বুকের মাঝে আরো শক্ত করে জড়িয়ে নিয়ে বলল,
- আরে সোনা" এতদিন তো তোমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছি অনেক, নাক ডাকার সময় পেয়েছি কোথায় বলো? কিন্তু এখন তো তুমি আমার বুকের মাঝে, তোমাকে নিয়ে আর স্বপ্ন দেখার কোনো দরকার নেই, এখন থেকে নিশ্চিন্তে নাক ডেকে ঘুমাবো। বুঝলে বউ?
কথাটা শুনে মুচকি হেসে মেঘলা দুষ্টামি করে জবাব দিলো,
- হইছে থাক, নাক ডাকলে কিন্তু ফেলে দিবো বিছানা থেকে...।
.
ফেলে দিতে চাইলেই কি কেউ স্বামীকে বিছানা থেকে ফেলে দিতে পারে? পারেনা। তাই মেঘলাও পারেনি।
-
----- সমাপ্ত-------
-
বিঃদ্র;- এটা 'তৃপ্ত ছায়া' উপন্যাসের শেষ পর্ব, আমার এই উপন্যাসটা এই ভার্চুয়াল জগতের কিছু আত্মার সাথে জড়িয়ে থাকা বন্ধুদের নিয়ে লিখা।
এখানে কতইনা ভুলভ্রান্তি ছাই পাশ মাড়িয়ে গেলাম, তাতে যদি কারো মনে আছড় লেগে যায় তবে আমার ভুল গুলো ক্ষমা ও সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন বন্ধু।
-
মিস প্রিয়া চৌধুরী।

No comments

জনপ্রিয় পোষ্ট

  জন্ম নিবন্ধন করবেন ভাবছেন, আর ভাবনা নয় সপ্ন এখন সত্যি সব এখন হাতের মুঠোয়, [ http://bdris.gov.bd/br/application ]( http://bdris.gov.bd/br...

Powered by Blogger.