মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ রেহানাকে উপ-প্রধানমন্ত্রী করুন, অবস্থা ভালো মনে হচ্ছেনা—–রেজা আহমদ ফয়সল চৌধুরী
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ রেহানাকে উপ-প্রধানমন্ত্রী করুন, অবস্থা ভালো মনে হচ্ছেনা—–রেজা আহমদ ফয়সল চৌধুরী
রেজা আহমদ ফয়সল চৌধুরী
কি হচ্ছে বাংলাদেশে? কি হবে? করনা সামাল দিতে পারবে বাংলাদেশ? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আস্থা রাখতে পারছেন না কারো উপরই। চাউল চোর গম চুর, ইট চুর বালি চুর পাথর চুর, ক্যসিনো চুর, বিদ্যুত চুর, নারী চুর, গাড়ী চুর বাড়ী চুর, জমি চুর, রাস্তা চুর, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চুর, মন্ত্রী চুর এমপি চুর, চেয়ারম্যান চুর মেম্বার চুর, ডাক্তার চুর, কবিরাজ চুর, শিক্ষক চুর, ভাই চুর বোন চুর ছেলে চুর মেয়ে চুর, মোল্লা চুর, আস্তিক চুর নাস্তীক চুর, সাংবাদিক চুর, মিডিয়া চুর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সব দিকে শুধু চুর আর চুর। এত চুর আর বাটপারের মাঝখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বসবাস। বার্নিং বেডে যেমন কেউ শুইতে পারেনা। তেমনি এত চুর মহা চুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশ চালাতে পারেননা। কাউকেই তিনি বিশ্বাস করতে পারছেননা। তার আশেপাশে যারা প্রতিনিয়ত ঘুর ঘুর করে তারা হচ্ছে ধান্ধাবাজ। এসব ধান্ধা বাজদের উদ্দেশ্য একটিই সেটি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে লুটপাট করা। এবং তারা তাই করছে। আওয়ামীলীগে একটাও ভালো মানুষ নেই। যে ভালো মানুষটি ছিল, তিনি চলে গেছেন সব ধরা ছোয়ার বাইরে। তিনি মরে গিয়ে বেচে গেছেন। তিনি যদি আজোও বেচে থাকতেন তাহলে কষ্ট পেতেন। তিনি মরেছেন কষ্ট পেয়ে। কি দরকার ছিল ঘড়ি কাদের স্যারকে সেক্রেটারী জেনারেল করার? কি দরকার ছিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রী থেকে সৈয়দ আশরাফ সাহেবকে সরানোর? জানি বিভিন্ন দেশকে খুশী করতে হয়। অন্যদিকে খুশী করতে পারতেন। আপনার ঘরের মানুষকে অন্য পদ দিয় খুশী করতে পারতেন। পারেননি। সব দিকে শুধু ষড়যন্ত্র। আপনার প্রবীন নেতা তোফায়েল আহমদ স্যার সহ সবগুলোই হচ্ছে শয়তানের হাড্ডি। বদের হাড্ডি। করনা শেষ হলে বৃটেনের ন্যায় হাউস অব লর্ডস একটি সৃষ্টি করা যায় কি-না ভাবতে পারেন। সেখানে বুড্ডাদেরকে রেখে দিবেন। তাহলে ষড়যন্ত্র করবেনা। অল্ড ব্লাডার, অল্ড বোনসদের ক্লাব করে দেন। বৃটেনের মত সেখানে গিয়ে ঝিমুবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমি জানিনা আপনি আমার লেখাগুলো পান-কি-না? পাওয়ার তো কথা। রেহানা আপাকে অনেক অনেক কিছুই বলেন। অনেকে বলেন তিনি নাকি দুর্নিতীবাজ? তিনি টেন পার্সেন্ট? না- তিনি ইলেভেন পার্সেন্ট? লন্ডনে বসে কত কিছু শুনি। আমার বিশ্বাস হয়না। মাঝখানে শুনেছিলাম আপনারা বোনে বোনে নাকি বেশ ঝগড়া শুরু হয়েছে নেতৃত্ব নিয়ে। রেহানা আপাকে আমি যতটুক চিনি বা জানি তিনি ক্ষমতার লোভী নন। ২০১৭ সালের কোনো এক মাস। স্থান লন্ডনের হিথ্র বিমান বন্ধর। বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের ফ্লাইটে আমি লন্ডন থেকে সিলেট যাবো। বিমানে উঠে আমি আমার হ্যন্ড ব্যগ রাখছি দেখি রেহানা আপা। সালাম দিলাম, সাথে ছেলে ববি। ববিকে দেখেই তার বিয়ের অনুষ্টানের কথা মনে পড়েছিল। স্মৃতি যদি আমার সাথে প্রতারনা না করে তাহলে ববির ইসলামিক বিয়েটি হয়েছিল সেন্ট্রাল লন্ডনের রিজেন্স পার্ক মসজিদে। আমি তখন চ্যানেল আই ইউররোপের চিফ এক্সিকিউটিভ। লন্ডনের একটি হোটেলে বসে প্লান হয়েছিল—-। সেটি অন্য প্রসংঙ্গ, আরেক-দিন লিখবো। সে যাক রেহানা আপার সিট আমার সিট পাশাপাশি । কুশলাদি বিনিময় হলো। ববিকে পরিচয় করিয়ে দিলেন। আমি মনে মনে ভাবলাম দেখি কি করেন রেহানা আপা। প্রধানমন্ত্রীর বোন। আমার দৃষ্টি রেহানা আপার দিকে। ক্ষমতার কিছুটা দাপট তো দেখাবেন তিনি। না বিমান আকাশে উঠার পর সাধারন যাত্রীদেরকে যা পরিবেশন করলো রেহানা আপাকেও তাই দেয়া হলো। আমার তো মনে মনে ধান্ধা যে দেখি স্পেশিয়েল কিছু বিমান বালারা দেয় কি-না? আমার উদ্দেশ্যে ছিল দিলেই নোট করবো। লন্ডনে বেক করেই টিভিতে টক শো আর পত্রিকায় লিখবো। না কিছুই করেননি তিনি । বরং আমার সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বললেন এবং এক পর্যায়ে ঘুমিয়ে পড়লেন। আমিও খাওয়া দাওয়া করে ঘুম। এক ঘুমে সিলেট। সিলেটে আসার পর আমার ধারণা ছিল তিনি বিমান থেকে নামবেন এবং ভিআইপি লাউঞ্জে এসে হাত মুখ ধুয়ে নাস্তা করবেন, এবং সিলেটের আওয়ামীলীগের নেতাদের সাথে বৈঠক করবেন। কিন্তু নামার কোনো লক্ষন না দেখে আমি নিজ থেকেই জিজ্ঞাস করলাম আপনি নামবেননা? বললেন না নেমে কোনো লাভ নেই। বিমানে বসে থাকি। আমি বিদায় নিয়ে সিলেটে নেমে পরলাম। দেখলাম এয়ারপোর্টের দুএকজন কর্মকর্তা যাচ্ছেন বিমানের দিকে। একজন আমাকে জিজ্ঞাস করলেন আপনি কি অুমখ? বললাম জি। আপনার লোকজন সহ কাউকেই আমরা ভিতরে ঢুকতে দেইনি। সবাইকে এয়ারপোর্টের বাইরে রেখে দিয়েছি। জিজ্ঞাস করেছিলাম কেন? বলেছিলেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানা এখানে নামবেন নাস্তা করবেন। বলেছিলাম তাই নাকি? কর্মকর্তা বলেছিলেন জি। আমি বলেছিলাম তিনি নামবেননা। কর্মকর্তা জিজ্ঞাস করলেন কেন? বললাম জানিনা। আমার পাশের সিটে ছিলেন তিনি, আমি জিজ্ঞাস করেছি তিনি বলেছেন তিনি নামবেননা। কর্মকর্তা আমার দিকে এমনভাবে তাকালেন মনে হলো আমি মিথ্যা বলছি। আমি চলে আসলাম। এয়ারপোর্টের বাইরে এসে যাদেরকে পেলাম তারা বললেন রেহানা আপা আসায় আমাদের কাউকেই ভিতরে ঢুকতে দেয়নি। আমি বলেছিলাম রেহানা আপা তো নামেননি। তারা অবাক হয়ে জিজ্ঞাস করলেন কেন? বলেছিলাম হয়তো-বা রেহানা আপা ভাবছেন তিনি যদি নামেন আর আমি যদি টক শোতে বলি অথবা লিখে ফেলি তাহলে তো মান-সম্মান যাবে। একজন আমাকে বললেন আপনি কি লিখে ফেলতেন? বলেছিলাম অবশ্যই লিখতাম। ক্ষমতার অপব্যবহার করলে লিখবো-না কেন? যিনি কথা বলেছিলেন তিনিও সাংবাদিক ছিলেন। বলেছিলেন ভাই আমরা লিখতে পারবো-না। বলেছিলাম আপনারা লিখলে আওয়ামীলীগাররা খবর করে ফেলবে। বলেছিলেন ঠিকই ধরেছেন।
অনেকেই আমার লেখালেখি দেখে বলেন ভাগ্যিস তোমি লন্ডনে বসে এসব লিখছো দেশে গেলে অথবা দেশে বসবাস করে এসব লিখলে লাশ ফেলে দিতো, অথবা বিনা বালিশে আজীমপুর কবরাস্থানে শুয়াইয়া ফেলতো।
সে যাক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমি রেহানা আপার পক্ষে কোনো সুপারিশ করছিনা। আপনি ব্যপারটি গভীরভাবে উপলদ্ধি করার চেষ্টা করবেন প্লিজ। বৃটেনে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি হচ্ছে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন করনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি যখন ইনটেনসিভ কেয়ারে চলে গেলেন তখনই সমস্যা দেখা দিয়েছে। কারন বরিস জনসনের কোনো উপপ্রধানমন্ত্রী নেই। যেহেতু উপপ্রধানমন্ত্রী নেই সেহেতু রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত এখন কে দিবে? কোবরা মিটিং এ কে সভাপতিত্ব করবে? এই মূহুর্তে যদি বৃটেনকে বিদেশী কোনো শক্তি আক্রমন করে বসে তাহলে পাল্টা আক্রমনের অর্ডার কে দিবে? বেশ কিছু রাষ্ট্রীয় ব্যপার স্যপার রয়েছে যে সব প্রধানমন্ত্রীকে দিতে হয়। খোদা না করুক আগামীকাল যদি আপনি কোনো কঠিন রোগে আক্রন্ত হয়ে বরিস জনসনের মত ইনটেনসিভ কেয়ারে চলে যান তাহলে কে সামলাবে সরকার? কে সামাল দিবে আওয়ামীলীগ? অনেকদিন ধরে শুনে আসছি আপনার পর আপনার মেয়ে অথবা আপনার ছেলে আসবে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে। আমি আপনাকে পরিস্কার ভাষায় বলে দিতে চাই আপনার ছেলে অথবা আপনার মেয়ে অথবা রেহানা আপার ছেলে অথবা রেহানা আপার মেয়েকে দিয়ে হবে না। কেন হবে না আপনাকে বলি (এক) আপনার ছেলে মেয়ের রেহানা আপার ছেলে মেয়ের শরীরে বঙ্গবন্ধুর রক্ত সরাসরি প্রবাহিত হচ্ছে না। ওরা কেউ ওয়াজেদ মিয়া সাহেবের ছেলে মেয়ে কেউ বা শফিক সিদ্দিকী সাহেবের ছেলে মেয়ে। (দুই) এত কম বয়সে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে আসলে আওয়ামীলীগ যে বিএনপির ভাগ্যবরন করবেনা তার গ্যারান্টি কে দিবে? (তিন) আপনার এবং রেহানা আপার ছেলে মেয়ে নেতৃত্বে আসলে ওরা আওয়ামীলীগ সামলাতে পারবেনা। কারন ওদের বিদেশী স্ত্রী। ওরা ডার্লিং সামলাবে না আওয়ামীলীগ সামলাবে? বিষয়গুলো ভেবে দেখতে হবে। (চার) আপনার অথবা রেহানা আপার যে মেজাজ মর্জ্জি আপনাদের ছেলে মেয়ের মধ্যে সেটি থাকবেনা। আপনি অথবা রেহানা আপা যতটুকু শ্রদ্ধা রেখে মানুষের সাথে কথা বলবেন তারা না ও বলতে পারে। সেটি আপনার শুধু না, আমি আমার ছেলেকে দেখেছি। সেদিন আমার ছেলে তার মামাত ভাইকে বলছে হেই ম্যান তুই কিন্তু আমার ফাস্ট কাজিন না। তুই আমর মা-র পক্ষের আতœীয়, সে ইংরেজীতে বলছে। আমি জিজ্ঞাস করেছি তুই এসব কোথায় পেলে? বলে বাবা আমার স্কুলে অনেক কিছুই শিখিয়ে দেয়। আপনার অথবা রেহানা আপার ছেলে মেয়ে বিদেশে বড় হয়েছে, দেশের মানুষের যে কালচার দরজা ধরাষ করে খুলে ফেলবে, থুথু ফেলে দিবে উপরে। মাঝে মধ্যে আমি আমার স্ত্রী ছেলে মেয়ে দেশে নিয়ে গেলে বিপদে পড়ে যাই। মানুষ আসে বেড রুমে বসে থাকে। একবার আমাদের সিলেটের বাসায় আমার আতœীয় এসেছে আমার খোজে। আমি বাইরে ছিলাম। আমার স্ত্রী আমাকে এসএমএস করেছে ওরা বেড রুমে বসে গল্প করছে। আমার অনেকটা হাসি পায়। আমার ভালো লাগে। কারন বেশী কথা বললে ওরা বলে আরে দুর তোমরা বেশী বৃটিশ কালচার ফলো করছো। যদিও এখন অনেকটা সভ্য হয়েছে বাংলাদেশের মানুষ তারপরও আরেকটু সময় লাগবে। আপনার ছেলে মেয়ে অথবা রেহানা আপার ছেলে মেয়েদেরকে নেতৃত্বে নিয়ে আসতে হলে আরো ৭/৮ বছর সময় পার করতে হবে। ববি বাংলাদেশে আছেন। তিনি হয়তো বাংলাদেশের কালচার বুঝেন কিন্তু বয়স একটা বড় ফ্যক্টর। দেখেন তারেক রহমান সাহেব কি করেছেন বিএনপিকে——। এ মুহুর্তে তারেক রহমান সাহেব যা বুঝেন বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন কিন্তু তিনি এত বুঝে উঠতে পারেননি। মা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে পা কি তিনি মাঠিতে রেখেছিলেন কখনো?
রেহানা আপাকে অনেকেই মনে করেন তিনি নেতৃত্ব দিতে পারবেননা, আমি যতটুকু দেখেছি রেহানা আপা পারবেন। আপনার সুযোগ রয়েছে রেহানা আপাকে এ কয়েক বছর ট্রেনিং দিয়ে গড়ে তুলা। রেহানা আপার ট্রেনিংও লাগবেনা। যে মহিলা বৃটেনের হাউস অব পার্লমেন্টের সদস্য টিউলিপ সিদ্দিকী জন্ম দিতে পারেন সে মহিলার আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব দেওয়া কোনো ব্যপার না।
লেখা লম্বা করতে চাইনা। করনার ব্যপারে আপনাদেরকে আর উপদেশ অনুরোধ করতে চাইনা। আপনারা যা ভালো মনে করেন তাই করেন। আমি আমার আগের লেখায় উল্লেখ করেছিলাম দেশের সব কটি ক্লিনিক করনা রোগীদের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়া হোক। আপনি নির্দেশ দিলেই কাজ হবে। মানুষ মরবে। বৃটেন আমেরিকায় মানুষ মরছে, বাংলাদেশে আরো বেশী মরবে। আল্লাহ ছাড়া রক্ষা করার কেউ নেই। আমি এখন বৃটেনেরও হাল ছেড়ে দিয়েছি। করনা রোগী যে-ই হাসপাতালে যাচ্ছে সে-আর ফিরছেনা। বাংলাদেশেও সমান হবে। বাংলাদেশে তো মানুষ কথাও শুনেনা। যেমন মানুষ তেমন গরুও। মানুষও হাটে রাস্তার মধ্য দিয়ে, গরুও হাটে। হর্ণ দিলে গরুও দেখেছি রাস্তার মধ্যেখানে দাড়িয়ে গাড়ীর দিকে রাগ করে তাকায়। যেমন মানুষ যেমন নেতা তেমন তার পশু পাখিও। দেখছেননা শিয়াল একটা যদি হুংকার দেয় সাথে সাথে সব গুলো দিতে থাকে। অথচ বৃটেনে এত সিটি ফক্স শহরে এত শিয়াল একটাও কিন্তু সন্ধার সময় ডাকেনা, রাতেও ডাকেনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি ভালো থাকুন। দেশকে ভালো রাখার চেষ্টা করুন। দেশের একজন মানুষ যদি কম মরে সে চেষ্টা যদি আপনি করেন আমি কৃতজ্ঞ থাকবো। আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা।
লেখক সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি বাংলা স্টেটমেন্ট ডট কম
সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক চ্যানেল আই ইউরোপ
সাবেক সভাপতি ইউকে বাংলা প্রেস ক্লাব
লন্ডন ৯ এপ্রিল ২০২০ বৃহস্পতিবার
No comments