Header Ads

Header ADS

সততা সাফল্যে চাবিকাঠি

সততা সাফল্যে চাবিকাঠি



                           পর্ব-০১

একদা আরিফ চৌধুরী নামে এক ধনী ব্যাক্তি ছিলেন। ঐ এলাকার মধ্যে আরিফ চৌধুরী যেমন ধনী ছিলেন তেমনি আনেক দয়ালু মানুয় ছিলেন। এলাকার মানুষের যে কোন বিপদে তিনি তাদের পাশে থাকতেন। এলকার মানুষ তাকে অনেক ভালোবাসতেন এবং সম্মান করতেন।আরিফ চৌধুরী পরিবারে সদস্য সংখ্যা ছিল ৪ জন। তিনি ,তার একমাত্র মেয়ে অনামিকা ,তার স্ত্রী নাজমা বেগম আর কাজের মেয়ে রহিমা বেগম । তার এক মাত্র মেয়ে অনামিকা চৌধুরী ও তার স্ত্রী নাজমা বেগম কে নিয়ে বেশ সুখে জীবন যাপন করছিলেন আরিফ চৌধুরী। তাদের সংসারে সুখের কোন অভাব ছিল না। তার সংসার ছিল সব সময় হাসি খুশিতে ভরা। হঠাৎ করে তার সংসারে নেমে এলো দঃখের ছায়া।  তার আকাশটা হঠাৎ যেন  কালো মেঘে ঢাকা পড়ল। তার স্ত্রী নাজমা বেগম হঠাৎ করে মারা যান।স্ত্রী শোকে পাথর হয়ে যান আরিফ চৌধুরী। তার আদরের এক মাত্র মেয়ে অনামিকার কথা তার মনে নাই।মা মরা মেয়েটা কেমন আছে কি করে ? সে তার স্ত্রীর  শোকে এতটা কাতর যে  তার মেয়ে টা  কিছু খেয়েছে কিনা  সেই  খবর তার জানো নাই। দুপুর  গড়িয়ে সন্ধা হয়ে এল এখন কিছু খায় নাই। কাজের মেয়ে রহিমা এসে বলল  স্যার কিছু খাবেন না? চৌধুরী সাব বললেন না আমি কিছু খাবো না। রহিমা বলল তাই কি হয়। আপনি না  খেলে আপু মনি খাবে না। চৌধুরী সাব অনামিকা এখন ও খায় নাই। রহিমা সেই কখন ও আপনাকে ছাড়া খেছে। চৌধুরী সাব ঠিক আছে  টৈবিলে খাবার দাও। আর অনামিকা কোথায় আছে। রহিমা বলল রুমে।  চৌধুরী সাব মেয়ে রুমে গিয়ে দেখলেন মেয়েটা শুয়ে কাঁদতেছে। চৌধুরী সাব মেয়ের মাথা হাত দিয়ে মা বলে ডাকলো। তখন অনামিকা জড়িয়ে ধরে  বলল বাবা মা কোথায়?  আমার মা কে কোথায় রেখে এসছো? আমি মায়ের কাছে যাবো। চৌধুরী সাব মেয়ের কথা  শুনে  চোখের পানি ফেলে বলেন তোর মা আমাদের ছেড়ে অনেক দূরে চলে গিয়ছেন। সেই আমাদের কাছে আর ফিরে আসবে না। এই কথা শুনে অনামিকা আরো জোরে জোরে কাঁদতে লাগলো। চৌধুরী সাব মেয়ের চোখের পানি মুছে দিয়ে বলল মা রে তুই সকাল থেকে কিছু খাস নাই। চলে খেয়ে নিবি। অনামিকা বল বাবা তুমি তো কিছু খাও নাই। আমার খুধা নেই। অনামিকা আমার ও খুধা নেই। চৌধুরী সাব তাই বললে কি হয় মা না খেলে যে শীরর খারাপ করবে যে অনামিকা বাবা তোমাদের ছেড়ে  আমি কখন একা খেয়েছি। চৌধুরী সাব ঠিক মা চল খেয়ে নিই। চৌধুরী সাব মেয়ে কথা চিন্তা করে খেতে বসলেন। ঠিক তেমনি মেয়ে বাবা কথা চিন্তা করে খেতে বসলেন।আগের মত টৈবিলে  খাবার সাজানো আছে। শুধু এক জন লোক কম আছে।চৌধুরী সাব মেয়ের দিকে তাকায়  মেয়ে বাবার দিকে তাকায় কেউ খাবার মূখে  দেয় না। অনামিকা বলল আব্বু আম্মুকে ডাকবে না? চৌধুরী সাব  চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে  বলল মা খাবার নাও । অনামিকা নিচ্ছি বাবা তুমি ও নাও। দুই জনে মুখে খাবার নিয়ে বসে আছে। কিন্তু গিলতে পারে না। অনেক কষ্ট করে  খেতে পারল না। এই সময় মাগরিবের নামাজের আজান হয়। আজান শুনে চৌধুরী সাব বলল আজান দিয়েছে আমি নামাজ পড়ে আসি। তুমি খেয়ে নাও মা। অনামিকা বলল আমি ও নামাজ পড়ব।এই কথা বলে সেই খাবার টৈবিল  ওঠে অযু করে নামাজ পড়তে গেল। রাহিমা খাবার গুলো গুছিয়ে রেখে সে ও নামাজ পড়তে গেল। চৌধুরী সাব নামাজ পড়ে এসে চিন্তা করতে লাগলো আমার স্ত্রী যে ভাবে আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে আমাকে একদিন এই ভাবে চলে যেতে হবে। তখন আমার আদরের মেয়েটা কি হবে? কে দেখবে আমার ব্যবসা বানিজ্য?

No comments

জনপ্রিয় পোষ্ট

  জন্ম নিবন্ধন করবেন ভাবছেন, আর ভাবনা নয় সপ্ন এখন সত্যি সব এখন হাতের মুঠোয়, [ http://bdris.gov.bd/br/application ]( http://bdris.gov.bd/br...

Powered by Blogger.